আত্মহত্যার জঙ্গল - সুইসাইড ফরেস্ট - যেখানে গেলে মানুষ মৃত্যুবরণ করে

 বন্ধুরা বনে বনে ঘুরতে কার না ভালো লাগে। পার্সোনালি আমার তো বনে বনে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু সেই বন বা ফরেস্ট যদি ভয়ংকার হয় আপনার মৃত্যুর কারণ হয় তখন তো সেখানে যাওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। আজ আমি এমন একটি ফরেস্টের সম্পর্কে বলবো যে ফরেস্টেটি বিশাল দত্তকার প্রাণী কিংবা সাপ বা অন্য সকল প্রাণীর জন্য ভয়ঙ্কর না। ফরেস্টে না আছে সাপ না আছে টাইগার তার পরেও মানুষের মৃত্যুর ফাঁদ হিসেবে এ জঙ্গলের অনেক খ্যাতি রয়েছে।




অকিগাহারা ফরেস্ট

জাপানের ছবির মতো সুন্দর পাহাড় মাউন্ট ফুজি নিচে অবস্থিত অকিগাহারা যা কে সুইসাইড ফরেস্ট বা সি অফ ট্রিস বলা হয় । এই স্থানটি জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় সুইসাইড স্পর্ট। যেখানে এক হাজারের বেশি সুইসাইড এর ঘটনা সামনে এসেছে। 2003 সালে স্থান থেকে একসাথে 105 টি ডেড বডি উদ্ধার করা হয়েছিল। এই আত্মহত্যার কারণে জঙ্গল টিকে ভুতুড়ে ও বলা হয় তাছাড়া এই জঙ্গলে অনেক লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে কিন্তু আজ পর্যন্ত এইসব লুটপাট করা মানুষদের অর্থাৎ ডাকাতদের কেউ দেখেনি। এই জঙ্গলের আরেকটি রহস্য হলো এই জঙ্গলে আধুনিক যুগের কোন উপকরণ যেমন মোবাইল ফোন টাইম ওয়াচ কম্পাস কিছুই কাজ করে না। আর সেই কারণে জাপান সরকার এই স্থানটিকে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে আপনি যদি ফরেস্ট্রি তে প্রবেশ করতে চান তবে সর্বপ্রথম আপনি দেখতে পারবেন একটি ওয়ার্নিং নোটিশ বোর্ড যেখানে এভারেস্টের সকল ভয়াবহতার উল্লেখ রয়েছে। 

অ্যামাজন  রেইনফরেস্ট

অ্যামাজন পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম ফরেস্ট। দক্ষিণ আমেরিকার একাধিক দেশে আবৃত করে এবং ব্রাজিলের বেশিরভাগ জায়গায় অবস্থিত অ্যামাজন  রেইনফরেস্ট।  প্রায় 7 বিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার অ্যামাজন ফরেস্ট।  বিশ্বের সবচেয়ে বিপদজনক ফরেস্ট হিসাবে দাবিদার কারণ  এই ফরেস্টে অনেক গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে এমনকি এই ফরেস্টের অভ্যন্তরে রহস্য আজও জানা যায়নি অনেকে ধারণা করে এই ফরেস্টের অভ্যন্তরে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খাজানা বা গুপ্তধন। এভারেস্ট এর ভিতর এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে আজও সূর্যের আলো পৌঁছায় নি। পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সাপ অ্যানাকন্ডার বসবাস এ ফরেস্টে । প্রায় 30 বিলিয়ন মানুষ আলাদা আলাদা উপজাতি বসবাস করে  এই আমাজন ফরেস্টে। 

Post a Comment

0 Comments